মুজামুল কুরআন Mujamul Quran

মুজামুল কুরআন Mujamul Quran

মু’জামুল কুরআন

প্রকাশনায়: ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার। (আই.ই.আর.এফ)
পৃষ্ঠা: ১১২৩
সাইজ: ৫৩.১১ মেগাবাইট
পবিত্র কুরআন, কুরআনের তরজমা ও পূর্ণাঙ্গ শব্দসূচী

মানবজাতির দুনিয়াও আখিরাতের শান্তি ও মুক্তির জন্য নাযিল হয়েছে সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থ আল কুরআন। দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ,শান্তি ও মুক্তির জন্য নির্ভুল এই আসমানী গ্রন্থের নির্দেশনা অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। তাই পবিত্র করআনের সমুহান শিক্ষা প্রথমত বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মহৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান “ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন(আই.ই.আর.এফ)” ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘মু’জামুল কুরআন’ নামক একটি সংকলন প্রকাশের মহৎ প্রকল্প হাতে নেয়। ‘মু’জামুল কুরআন’আরবী শব্দ,যার বাংলা অর্থ হল, ‘কুরআনের শব্দকোষ’ বা ‘কুরআনের বিষয়কোষ’। মূলত:এই সংকলন রয়েছে পরিত্র কুরআনের মূল আরবী টেকস্টসহ সাবলীল তরজমা,টীকা(সংক্ষিপ্ত তাফসীর), বিস্তারিত শব্দ ও বিষয়কোষ এবং উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পরিশিষ্ট। লেখকঃ মুহাম্মাদ শামসুদ্দোহ, মুহাম্মাদ সাইফুল কবীর, মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মাদ রেজাউল হক, নূরুল কাবীর, মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, মুহাম্মাদ আনিছুর রহমান, মুহাম্মাদ নূরুর রশিদ, মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন, মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মাদ জাকির হোসেন, মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ, মুহাম্মাদ রেজাউল করিম মারুফ, মুহাম্মাদ ফরিদ উদ্দীন ফারুক।

 

মুজামুল কুরআনের বিশেষত্ব:

  • মুজামুল কুরআনের অনুবাদে পবিত্র কুরআনের মুল টেক্সট এর প্রতিটি শব্দের অর্থ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সেই সাথে মৌলিক বাক্যবিন্যাস ও কুরআনের নিজস্ব প্রকাশভঙ্গির স্বকীয়তা বজায় রাখা হয়েছে। অনুবাদে প্রতিটি শব্দের অর্থ থাকায় এর পূর্ণাঙ্গ ইনডেক্স প্রণয়ন করা সহজ হয়েছে।
  • আরবী ও বাংলা ভাষার বাক্যগঠন ও প্রকাশরীতি অনুযায়ী আলাদাভাবে সাজানো হয়েছে।
  • যেখানে কোন আয়াতের বিভিন্ন তাফসির রয়েছে সেখানে যে তাফসিরটি আয়াতের পূর্বাপর প্রসঙ্গের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ সে আলোকেই সংশ্লিষ্ট আয়াতের তরজমা করা হয়েছে।
  • প্রতিটি শব্দ যথাযথ তাহক্কীক করার পরই তরজমা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য বিখ্যাত আরবী অভিধানসমূহের সাহায্য নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মৌলিক তাফসীর গ্রন্থাবলীর সাহায্য নেয়া হয়েছে।
  • সংশ্লিষ্ট আয়াতে আরবী ব্যাকরণগত দিক নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন মৌলিক তাফসীর গ্রন্থাবলীতে বর্ণিত ব্যাকরণগত বিশ্লেষণের সাহায্য নেয়া হয়েছে।
  • কুরআনে যে শব্দটি বহুবচন ব্যবহৃত হয়েছে সেটার সঠিক মর্ম প্রকাশের স্বার্থে বাংলা তরজমায়ও বহুবচন লেখা হয়েছে।
  • বাংলায় ভাব প্রকাশের জন্য কোন বিশেষ্যের একাধিক বিশেষণ এবং বাক্যের উদ্দেশ্য এর একাধিক বিধেয় থাকার ক্ষেত্রে ‘ও’ ব্যবহার করা হয়েছে।
  • কুরআনের মুল টেক্সট-এ যেসব যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে তার আলোকে বাংলা ভাষার যতিচিহ্ন যেমন দাড়ি, কমা, হাইফেন, ইনভার্টেড কমা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে।
  • বাংলা ভাষায় বর্তমানে প্রচলিত তরজমার সাথে এ তরজমা কুরআনের স্বকীয়তা বজায় রাখার কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র ও ভিন্নধর্মী হযেছে।
  • এ তরজমা যথাসম্ভব সঠিকভাবে সম্পাদনার জন্য প্রাচীন ও আধুনিক প্রায় অর্ধশত তাফসীরের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *